বন্ধুরা পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপ কী? যদি জানতে চাওয়া হয় সবাই'ই চোখ বন্ধ করে বলে দিবে অস্ট্রেলিয়ার ইনল্যান্ড তাইপেনের কথা।
আবার কেউকেউ বলবেন বেলচার্স সি স্নেক এর কথা। হ্যাঁ এরাই পৃথিবীর সবথেকে বিষধর সাপ। তবে কিনা প্রশ্নটা একটু ঘুরিয়ে যদি করা হয়?
মানে প্রশ্নটা যদি একটু ঘুরিয়ে করা হয়- বিষধরদের মধ্যে লম্বায় সবচেয়ে বড় কোন সাপটি? যদি না জানা থাকে তবে আপনি একটু থতমত খেয়ে মাথা চুলকাবেন।
অনেকেই হয়তো বুঝতে পারছেন আমি কার কথা বলতে চলেছি? হ্যাঁ বন্ধুরা আমি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় একমাত্র বিষধর সাপ কিং কোবরার কথাই বলতে চলেছি।
আবার কেউকেউ বলবেন বেলচার্স সি স্নেক এর কথা। হ্যাঁ এরাই পৃথিবীর সবথেকে বিষধর সাপ। তবে কিনা প্রশ্নটা একটু ঘুরিয়ে যদি করা হয়?
মানে প্রশ্নটা যদি একটু ঘুরিয়ে করা হয়- বিষধরদের মধ্যে লম্বায় সবচেয়ে বড় কোন সাপটি? যদি না জানা থাকে তবে আপনি একটু থতমত খেয়ে মাথা চুলকাবেন।
অনেকেই হয়তো বুঝতে পারছেন আমি কার কথা বলতে চলেছি? হ্যাঁ বন্ধুরা আমি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় একমাত্র বিষধর সাপ কিং কোবরার কথাই বলতে চলেছি।
(আপনি যদি আর্টিকেল পড়তে ব্যোরিং ফিল করেন তবে এই ভডিওটি দেখে নিতে পারেন: https://youtu.be/JTA0jsIyqQg )
পৃথিবীর মধ্যে লম্বায় বড় সবচেয়ে বিষধর সাপ বলা হয় কিং কোবরা সাপকে। কিং কোবরা হলো ইংরেজী নাম।
এর বাংলা নামগুলো যথাক্রমে শঙ্খচূড়, পদ্ম গোখরা, রাজ গোখরা
এর বাংলা নামগুলো যথাক্রমে শঙ্খচূড়, পদ্ম গোখরা, রাজ গোখরা
( বৈজ্ঞানিক নাম : Ophiophagus hannah অফিওফ্যাগাস হান্নাহ ) একটা কিং কোবরা দৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ ৫.৬ মিটার (১৮.৫ ফুট) পর্যন্ত হতে পারে।
একটু চিন্তা করুন তো, ১৮ ফুটের একটা সাপ আপনার সামনে ফনা ধরে এক দৃষ্টিতেই তাকিয়ে আছে! কেমন ভয়ানক ব্যাপারটা হবে ভাবতেই গায়ে কাটা দিচ্ছে!
একটু চিন্তা করুন তো, ১৮ ফুটের একটা সাপ আপনার সামনে ফনা ধরে এক দৃষ্টিতেই তাকিয়ে আছে! কেমন ভয়ানক ব্যাপারটা হবে ভাবতেই গায়ে কাটা দিচ্ছে!
ইংরেজি নামে কোবরা শব্দটি থাকলেও এটি কোবরা বা গোখরা নয়। এটি সম্পূর্ণ আলাদা গণের একটি সাপ।
এই সাপের আকার পর্যবেক্ষণ এবং ফণার পেছনের অংশ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গোখরার সাথে এটির পার্থক্য খুব সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব।
গোখরার তুলনায় শঙ্খচূড় আকৃতিতে যথেষ্ট পরিমাণ বড়। এর ফণার পেছনে প্রচলিত গোখরা বা খড়মপায়া গোখরার মতো চশমা বা গোক্ষুর আকৃতি চিহ্ন থাকে না।
শঙ্খচূড়ের গণের নাম হচ্ছে Ophiophagus , যার আক্ষরিক অর্থ "সাপ খাদক", মজার বিষয় হচ্ছে বন্ধুরা, কিং কোবরা অন্যান্য সাপ খেয়েই তার খাদ্য চাহিদা মেটায়।
যেসকল সাপ এটি ভক্ষণ করে তার মধ্যে আছে র্যাট স্নেক (র্যাটস্নেকদের মধ্যে দাড়াশ সাপ অন্যতম), এবং ছোট আকৃতির অজগর।
এছাড়াও অন্যান্য বিষধর সাপও এটি ভক্ষণ করে, যেমন: ক্রেইট , গোখরা, এবং নিজ প্রজাতিভুক্ত অন্যান্য ছোট সাপ।
কিংকোবরা মারাত্মক বিষধর সাপ! সাপের বিষ মূলত নিউরোটক্সিক , অর্থাৎ এটির বিষ আক্রান্ত প্রাণীরর স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে।
শঙ্খচূড়ের একটি সাধারণ দংশন-ই যেকোনো মানুষকে মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ট। এর কামড়ের ফলে সৃষ্ট মৃত্যু হার প্রায় ৭৫%।
বলা হয়, কিং কোবরার কামড়ে একটা বিশালাকার হাতিও ৩ঘন্টার মধ্যে মারা যায়!
শঙ্খচূড়ের একটি সাধারণ দংশন-ই যেকোনো মানুষকে মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ট। এর কামড়ের ফলে সৃষ্ট মৃত্যু হার প্রায় ৭৫%।
বলা হয়, কিং কোবরার কামড়ে একটা বিশালাকার হাতিও ৩ঘন্টার মধ্যে মারা যায়!
ডিম পাড়ার আগে স্ত্রী শঙ্খচূড় তা শরীর পাকিয়ে কুণ্ডুলী তৈরি করে, এবং তা মৃত পাতা ব্যবহার করে উঁচু ঢিপির মতো তৈরি করে।
পরবর্তীকালে সেখানে ২০ থেকে ৪০টির মতো ডিম পাড়ে। কুন্ডুলী পাকানো দেহটি ইউকিউবেটররের মতো কাজ করে।
বাচ্চা ফোটার আগ পর্যন্ত শঙ্খচূড় তাঁর ঢিপিটিকে বিরামহীনভাবে পাহারা দিতে থাকে, এবং কোনো প্রাণী যেনো কাছে আসতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখে।
পরবর্তীকালে সেখানে ২০ থেকে ৪০টির মতো ডিম পাড়ে। কুন্ডুলী পাকানো দেহটি ইউকিউবেটররের মতো কাজ করে।
বাচ্চা ফোটার আগ পর্যন্ত শঙ্খচূড় তাঁর ঢিপিটিকে বিরামহীনভাবে পাহারা দিতে থাকে, এবং কোনো প্রাণী যেনো কাছে আসতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখে।
ঢিপির মধ্যে প্রায় ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ডিমগুলোকে তা দেওয়া হয়। বাচ্চা ফোটার পর তা নিজে নিজেই ডিমের খোলস ভেঙে বেরিয়ে যায়
এবং নিজেই নিজের শিকার খুঁজতে থাকে, এজন্য মাকে তাঁর নিজের বাচ্চা ভক্ষণ করতে হয় না। নতুবা কিং কোবরা নিজের বাচ্চাকে ভক্ষণ করতেও মোটেই দ্বিদ্ধা করতোনা।
শিশু শঙ্খচূড়ের দৈর্ঘ্য হয় প্রায় ৫৫ সেন্টিমিটার এবং এদের বিষ প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই মৃত্যুঘাতী।
এবং নিজেই নিজের শিকার খুঁজতে থাকে, এজন্য মাকে তাঁর নিজের বাচ্চা ভক্ষণ করতে হয় না। নতুবা কিং কোবরা নিজের বাচ্চাকে ভক্ষণ করতেও মোটেই দ্বিদ্ধা করতোনা।
শিশু শঙ্খচূড়ের দৈর্ঘ্য হয় প্রায় ৫৫ সেন্টিমিটার এবং এদের বিষ প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই মৃত্যুঘাতী।
পৃথিবীর অনেক দেশেই কিং কোবরা দেখতে পাওয়া যায়। ভারতের উত্তর-পূর্ব ও পূর্বাংশে এমনকি বাংলাদেশের সুন্দরবনের গভীরে এই সাপ দেখতে পাওয়া যায়।
এছাড়াও ভুটান , মায়ানমার , কম্বোডিয়া , চীন , ভারত , ইন্দোনেশিয়া, নেপাল , ফিলিপাইন , সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে বেশি পরিমাণে দেখা যায় ।
এটি ঘন জঙ্গল ও উঁচুভূমিতে বিশেষ করে হ্রদ ও স্রোতস্বিনী পরিবেশে থাকতে বেশি পছন্দ করে ।
এছাড়াও ভুটান , মায়ানমার , কম্বোডিয়া , চীন , ভারত , ইন্দোনেশিয়া, নেপাল , ফিলিপাইন , সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে বেশি পরিমাণে দেখা যায় ।
এটি ঘন জঙ্গল ও উঁচুভূমিতে বিশেষ করে হ্রদ ও স্রোতস্বিনী পরিবেশে থাকতে বেশি পছন্দ করে ।
বন্ধুরা দুঃখের কথা হচ্ছে এই সব এলাকায় বন নিধন ও আন্তর্জাতিক প্রাণী চোরাচালানের জন্য শঙ্খচূড়ের প্রজাতি দিন দিন বিলুপ্তির পথে।
এই সাপ বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে যদি অতিসত্বর কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়া হয় তবে অচিরেই কিং কোবরা সাপ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
বন্ধুরা আসুন আমারা কিং কোবরা বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে সরকারকে সবরকমের সাহায্য সহযোগিতা করি।
আমাদের সহযোগিতাই এই সাপকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।
এই সাপ বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে যদি অতিসত্বর কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়া হয় তবে অচিরেই কিং কোবরা সাপ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
বন্ধুরা আসুন আমারা কিং কোবরা বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে সরকারকে সবরকমের সাহায্য সহযোগিতা করি।
আমাদের সহযোগিতাই এই সাপকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।
No comments:
Post a Comment